তালতলীতে একই পরিবারে চার সদস্যের তিনজনই মানসিক প্রতিবন্ধী

বরগুনার তালতলী উপজেলায় ৫ নং বড়বগী ইউনিয়নের ছোট ভাইজোড়া এলাকায় পরিবারে চার সদস্যের তিনজনই মানসিক প্রতিবন্ধী নুরভানু নামের এই প্রতিবন্ধী মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের জন্য ধারে ধারে ঘুরছেন। কে দেবে মাথা গোঁজার ঠাঁই সেই আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ছোটভাইজোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে বসবাস করেন মানসিক প্রতিবন্ধী নুরভানু (৩৫)। থাকার মত একটু জমি আছে নেই ঘর প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত ঘরের জন্য ধারে ধারে ঘুরেও জোটেনি একটি ঘর। সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ছোটভাইজোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে মানসিক প্রতিবন্ধী নুরভানু যেখানে বসবাস করে সেখানে নেই তার থাকার মতো একটি ঘর। পরের ঘরের বারান্দায় কোন রকম রাত্রি যাপন করে দিনাতিপাত করছেন মানসিক প্রতিবন্ধী নুরভানু । ঘর তোলার জায়গা থাকলেও অর্থের অভাবে তুলতে পারেনি ঘর । চারদিকে খুঁটি দিয়ে রেখে ১৫ বছর যাবত মনে মনে ভাবছেন ঘর একদিন হবেই। কিন্তু এখনো হয়নি।

স্থানীয়’রা বলেন, পরিবারটি খুব আসহায়। পরিবারের চার সদস্যের তিনজনই মানসিক প্রতিবন্ধী কেউ তেমন কাজ করতে পারে না, কোনো রকম মানুষের কাছে খাবার জোগাড় করলেও থাকার মতো নেই কোনো ঘর তবে উপজেলা প্রশাসন একটু নজর দিলে হয়তো মানসিক প্রতিবন্ধী নুরভানু মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতো। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে কোন সন্ধান না পেয়ে তিনি সাংবাদিকদের শরণাপন্ন হন। মানসিক প্রতিবন্ধী নুরভানু বলেন, আমি ঘরের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। কেউ আমাকে ঘর দেয়ার কথা বলেনি। আমার ঘরের জন্য বলার মতো লোক নেই। স্থানীয় সাবেক মেম্বার খালেদ মাসুদ বলেন,ছোট ভাইজোড়া দীর্ঘদিন বসবাস করে নুর ভানু আসলেই মানসিক প্রতিবন্ধীর বাকশক্তি ও বুদ্ধি কম থাকায় দুটি সন্তানসহ জামাই ফালাই রেখে চলে যায় যদিও নুর ভানুর থাকার জায়গা আছে। নেই একটি ঘর দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দেখা যায় এই কনকনে শীতের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় মানুষের বাড়ির বারান্দায় অসহায় অবস্থায় থাকে।

ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলম মুন্সি বলেন, আমি কাল রাতে কম্বল বিতরণের জন্য গিয়েছিলাম তখন দেখেছি তাকেও একটি কম্বল দিয়েছি ওই সময় দেখা যায় কনকনে শীতের মধ্যে অন্যের ঘরের বারান্দায় ছোট্ট একটি বাচ্চা নিয়ে থাকেন। নুর ভানুর থাকার জায়গা আছে নেই একটি ঘর তার ঘর প্রয়োজন আমাদের হাতে নতুন কোন প্রজেক্ট আসলে প্রথমেই তাকে একটি ঘর দেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার টুম্পা বলেন,আমাকে এলাকার ঠিকানা দিন আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখব যদি সম্ভব হয়। আমরা স্থানীয় প্রশাসন দিয়ে সহযোগিতা করব একটি ঘর তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নিব।

Recommended For You

Leave a Reply