নৌকা প্রতীকে ভোট চাইলেন বিএনপি নেতা,ভিডিও ভাইরাল

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ (সদর,আমতলী-তালতলী) আসনে নৌকা প্রতীকে ভোট চাইলেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফরাজী মো. ইউনুচ। নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার একটি ভিডিও ফেজবুকে ভাইরাল হয়েছে। এতে বিএনপি ও আওয়ামীলীগ নেতার ভেতরে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

সোমবার(২৫ ডিসেম্বর) সন্ধায় উপজেলার লাউপাড়া স্কুল মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজিত নৌকা প্রতীকের পথ সভায় নৌকায় ভোট চাইছেন ফরাজী মো. ইউনুচ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। ফরাজী মো. ইউনুচ উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি। গত ২০২২ সালের ইউপি নির্বাচনে ফরাজী মো. ইউনুচ ঐ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে।

বিএনপি নেতা ফরাজী মো. ইউনুচ বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্যর কাছে দাবি করেন তার ইউনিয়নটি ভাঙন ও দুর্গম এলাকা। বিগত দিনে যে উন্নয়ন হয়েছে ও আমি দুই বার চেয়ারম্যান থাকাকালীন যে কাজ হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট বর্তমান সংসদ সদস্যর ওপরে। আমরা যাতে আরও উন্নয়ন পেতে পারি। আরও দুই জন বক্তাতা বলে গেছেন যে দুই তিনটি রাস্তা হলে আমরা ভালো অবস্থানে যেতে পারি তার দাবি রাখেন। এগুলো আপনি (নৌকার প্রার্থী) পথ সভায় বললে আচরণবিধি লঙ্ঘনে বাধা আছে বলে এখন প্রতিশ্রæতি দিতে পারবেন না। তবে খেয়াল রাখবেন আমাদের দিকে। এই বলে আমি আমার সোনাকাটা বাসীকে বলতে চাই। আমি নৌকায় ভোট চাই। আপনারা (পথসভায় মানুষদের বলেন) কারা কারা নৌকায় ভোট দিবেন হাত উচু করে দেখান,নৌকায় ভোট দিবেন কি না। আমি নিজে আমার এলাকার স্বার্থে যেটুকু প্রয়োজন সাধ্যমত চেষ্টা করবো যে নৌকা জয়যুক্ত করার জন্য। এই বলে আমি বক্তব্য শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ,জয় বঙ্গবন্ধু। তার এই পথ সভার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার র্শতে কয়েক জন বিএনপি নেতারা বলেন, তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত আছেন ও প্রভাবশালী নেতা হয়ে এভাবে নৌকায় ভোট চাইতে পারে না। এটা লজ্জাজনক বিষয়। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি। কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতারা বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপি নেতারা নৌকায় ভোট চাইছেন। যার প্রমাণ এই ইউপি চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন,আমার এলাকার ইউন্নয়নের জন্য নৌকায় ভোট চাইছি। এতে দোষের কিছু নেই। এবিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম হক ও সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমানের ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

Recommended For You

Leave a Reply