গত রবিবার (২৬ মে) দেশের উপকূলে আঘাত হানে প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্নিঝড় রেমাল। এতে দেশের সর্বদক্ষিণের জেলা বরগুনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘূর্নিঝড়ে দুর্গত জনগোষ্ঠীর মাঝে ত্রান বিতরন ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ প্রভাষক ফারজান সুমী।
২৯ মে (বুধবার) সকাল থেকে স্পিডবোটে বরগুনা সদর আয়লা পাতাকাটা, মোল্লার হোরা, ডালভাঙা, নিশানবাড়িয়া আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া, কচুয়া, ফেরিঘাট ও তালতলী উপজেলার গুলিশাখালী ও বন্দর এলাকাসহ দুর্যোগ কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি এসব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন করন।
নারী সাংসদের সঙ্গে কথা বলে দুর্গতরা জানায়, প্রতিবছরই কম নেশি ঘূর্নিঝড়ের কবলে পরে এসব এলাকা। তবে টেকসই বেরিবাধ না থাকায় প্রতিবছরই আমরা জলোচ্ছ্বাসের সম্মুখীন হই। এসময় টেকসই বেরিবাধ নির্মানের দাবি জানান তারা।
নলবুনিয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত আফজাল মিয়াসহ একাধিক বাসিন্দা বলেন, আমরা এই এলাকায় কোনদিন এমপি দেখিনি। এর আগে কোন এমপি আমাদের এলাকায় পা রাখেনি। এমপি আমাদের দেখতে এসেছেন এবং আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। এতে আমরা খুশি।
আয়লা পাতাকাটা এলাকার কিরন মিয়া বলেন, ঘূনিঝড়ের আগে এবং পরপরই এমপি সুমী সাধারণ জনগণের পাশে ছিলেন৷ তিনি আজ ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন করেন। এতে ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে উঠতে পারব।
সংরক্ষিত নারী আসনের (৩১৪) সাংসদ প্রভাষক ফারজানা সুমী বলেন, আমি ঘূর্ণিঝড়ের সিগন্যাল জানার পর থেকেই জনগনের মাঝে সচেতনার কথা বলেছি। সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান করেছি। এসব অঞ্চলের সবথেকে বড় সমস্যা হলো টেকসই বেরিবাধ না থাকা। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করে বেরিবাধ নির্মানের ব্যাবস্থা নিব। আপনারা সবাই আমার বাবা প্রয়াত সাবেক সাংসদ দেলোয়ার হোসেনকে চেনেন। আমার বাবাও সারাজীবন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আপনাদের পাশে ছিল। আমি বরগুনাবাসীর সাথে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজ করব।