প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় রেমালের ধ্বংসযজ্ঞের আর্তনাদের হাহাকারে ভারী উপকূলের পুরো আকাশ । গৃহহারা হয়ে প্রবল ঝড়ের মধ্যে কান্নার ভেঙ্গে পড়া উপকূলীয় জেলা বরগুনার ধুপতির গ্রামের সোবাহান শরীফ ও স্ত্রীর এমনি একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরলাল হয়। সেই বৃদ্ধ দম্পতি ও তার পরিবারের পাশে খাবার পোশাক ওষুধ নিয়ে দাঁড়ায় IGNITE THE NATION তরুন একটি সংস্থা।
তাদের থেকে জানা যায় গতকাল ভিডিওটি ধারণ ধরেন স্থানীয় একজন স্বেচ্ছাসেবকের ক্যামেরায় । পরবর্তীতে সেটি সামাজিক মাধ্যেমে ভাইরাল হয়। স্বেচ্ছাসেবক যখন ভিডিওটি পাঠায় সাথে সাথেই তারা ওই অঞ্চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে তারা আজ সেই পরিবার সহ আরও কিছু পরিবারে মধ্যে সযোগিতা পৌঁছে দেয়।পাশাপাশি গতকাল থেকে তারা আশ্রয় কেন্দ্রে গুলোতে শুকনো খাবার দিয়ে যাচ্ছে । তাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান।
স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের থেকে জানা যায় উপকূলীয় জেলায় এটি একটি উদাহরন মাত্র। বাস্তবতা এর চেয়েও অনেক অনেক ভয়ানক । যা অনেক অংশে ছাড়িয়ে গিয়েছে সিডরের ভয়াবহতাকেও। বিধ্বস্ত বসত বাড়ি ফসলের মাঠ, ডুবে আছে নিম্ন অঞ্চল। বিশুদ্ধ পানি, খাবার ,মেডিসিন পোশাক ,স্থায়ী বসত সবকিছুর সংকট প্রবল। জরুরী ত্রাণ ত্রাণ পর্যাপ্ত আসছে না ।
জেলা প্রশাসন থেকে জানা যায় বরগুনার ৩০০ টি প্লাবিত গ্রামের বিধ্বস্ত বাড়ি ঘরের সংখ্যা (সম্পূর্ণ) ৩,৩৭৪টি(আনুমানিক)। বন্যা দুর্গত মানুষের সংখ্যা: ২,৩১,৭০০ জন (আনুমানিক)। বিধ্বস্ত বাড়ি ঘরের সংখ্যা (আংশিক): ১৩,০৩৪টি(আনুমানিক)।
বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত: ১২ কি.মি। কৃষি জমি প্লাবিত: ৬০০০ হেক্টর জমি। মাছের ঘের ও উন্মুক্ত জলাশয়ের প্লাবিত: ৪১৫৭ হেক্টর।