বরগুনার প্রথিতযশা সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বরগুনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন দাস আর নেই। শুক্রবার (৮ ফ্রেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৮ টার দিকে পৌরশহরের আমতলার পাড় এলাকার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুর সময়ে তার বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর।
সাংবাদিক স্বপন দাস আশির দশকের দিকে বরগুনা একটি স্থানীয় সাপ্তাহিক পত্রিকায় লেখালেখি মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। সর্বশেষ ‘ভোরের পাতা’র জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
তিনি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের একজন নাট্যাভিনেতা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক ছিলেন। স্বপন দাস দীর্ঘদিন বিভিন্ন জটিল রোগে শয্যাশায়ী ছিলেন।
স্বপন দাসের মৃত্যুতে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বরগুনা প্রেসক্লাব, জেলা অনলাইন সাংবাদিক ফোরাম, জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্বার ছাড়াও বরগুনা পৌর মেয়র, স্থানীয় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিবর্গ এবং ‘দৈনিক মানবকাল’ পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে।
সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্বার’র সাধারণ সম্পাদক খান নাঈম বলেন, স্বপন দাস যেমন ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক তেমনি ছিলেন একজন গুণী নাট্যাভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব। তার মৃত্যুতে জেলার সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া বইছে। আমরা তার শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি।
বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন ফসল বলেন, স্বপন দাস ছিলেন জেলার খ্যাতিমান একজন সাংবাদিক। তার কলমে ফুটে উঠেছে জন দুর্ভোগ, দুর্নীতি-অসঙ্গতি, নাগরিক সমস্যা ও সম্ভাবনার নানান চিত্র। তার মৃত্যুতে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন হাওলাদার বলেন, আমরা একজন গুণী মানুষকে হারালাম। তার প্রয়াণে আমরা মর্মাহত। সাংবাদিকতায় নতুনদের অনুপ্রেরণা ছিলেন তিনি। আমরা স্বপন দাসের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বরগুনা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তার পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেয়া হয়েছে।
আগামীকাল শনিবার সকাল ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত তার মরদেহ প্রেসক্লাব চত্বরে রাখা হবে। এখানেই সর্ব সাধারণ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।