রাত তখন সাড়ে দশটা হঠাৎ করেই জেলে মিজানুরের বসতঘরে আগুন লেগে হারিয়ে গেল তার শেষ আশ্রয়স্থল। বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া গ্রামে ২৬ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে পরে ফায়ারসার্ভিসের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত সাড়ে দশটায় লাগা আগুন প্রায় ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে জ্বলতে থাকে এবং ততক্ষণে মিজানুরের ঘরের শেষ আস্ত কাঠটিও খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল। আগুনের সূত্রপাতের কিভাবে হয়েছে জানতে চাইলে ঘরের মালিক জেলে মিজানুর বলেন আমি একা ঘরের মাচায় ঘুমিয়ে ছিলাম তখন হঠাৎ রান্নাঘরের ওখানে আগুন জ্বলতেছে এমনটা অনুভব করি পরে নিচে এসে দেখি আগুন অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, সম্ভবত চুলার পাশে কাঠ রাখা ছিল সেই কাঠে আগুন লেগে তা ছড়িয়ে পরে। জেলে মিজানুর একই গ্রামের ফরিদ হাওলাদারের ছেলে। স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন দলু জানান আগুনের চিত্র এবং লোকজনের কোলাহল শুনে আমরা এসে দেখি আগুন পুরো ঘরে জ্বলছে সেইসাথে আমরা যে যার মতো চেষ্টা চালাচ্ছিলাম আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য কিন্তু পরে ফায়ারসার্ভিসের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কমান্ডার রুহুল কুদ্দুস জানান আমাদেরকে সাড়ে দশটার সময় ফোনে খবর দেওয়া হয় পরে প্রায় পৌনে এগারোটায় এসে একটি ইউনিটের মাধ্যমে ছয়জন ফায়ার কর্মকর্তার চেষ্টায় কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তিনি আরও জানান কাঠের ঘর হওয়ায় দ্রুত পুড়তে থাকে এবং গ্রামের রাস্তা হওয়ায় আর-ও দ্রুত আসা সম্ভব হয়নি। এদিকে আগুনে পুড়ে মিজানুর রহমানের পুরো ঘরটি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে এছাড়া ঘরে থাকা সকল মালামালই পুড়ে গিয়েছে যাতে ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সাগরে মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহ করা জেলে মিজানুর, এমনটাই নিশ্চিত করেছেন তিনি। তবে শেষ আশ্রয়স্থলটুকু হারিয়ে অসহায় হয়ে পরা মিজানুরের পাশে দাড়িয়েছেন বরগুনা ২ সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার পরিবার। মধ্যরাতে সুলতানা নাদিরার জ্যেষ্ঠ কন্যা ফারজানা সবুর রুমকি ছুটে আসেন মিজানুরের কাছে সাথে ছিলেন চরদুয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান জুয়েল। তারা মিজানুরের ঘরটি দেখে মিজানুরের হাতে কিছু নগদ অর্থ সহায়তা করে এবং তার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেয়।