বরগুনায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ চারজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই বিদ্যালয়ের সভাপতি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। বরিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের লেমুয়া এলাকার খাজুরা পি.কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সভাপতির নাম ইমতিয়াজ হোসেন সোহেল (৪২), তিনি একই এলাকার মৃত মোশারফের হোসেনের ছেলে। তার সহযোগিরা হলেন সাইফুল ইসলাম কিরন (৪৫), মোঃ দুলাল হাং (৪৬), আঃ জনবার খান (৫৫), মোঃ সেন্টু মৃধা (৪২)। এঘটনায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
স্থানীয়রা জানায়, বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার পর বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নেয় অভিযুক্ত সভাপতি। এঘটনায় মোট ৬ জনকে আসামী করে আদালতে মামলাও করে স্কুল কতৃপক্ষ। মামলার বাদী প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী। মামলায় করা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের (সাক্ষী) প্রধান শিক্ষকের কক্ষেই মারধর করে অভিযুক্তরা। এসময় কক্ষে ভাঙচুরও চালানো হয়।
স্কুলের শিক্ষার্থীরা বলেন, সভাপতি কয়েকজন লোক নিয়ে এসে হেড স্যারের রুমে ঢুকে মারধর করে। আমরা যাতে এবিষয়ে কাউকে কিছু না বলি তাই হুমকি দিয়েছে তারা। এখন বিষয়টি নিয়ে ভয়ে আছি। আমরা এর বিচার চাই। ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী বলেন, আমি সহ অন্য শিক্ষকরা আসামীদের বিরুদ্ধে সাক্ষী প্রদান করি। এতে ১নং আসামী স্কুলের সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন সোহেলসহ অন্যান্য আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ও বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের বেতন চেকের প্রতিস্বাক্ষর বন্ধ করে দেয়। এবং বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা তাকে দেওয়ার জন্য বলে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি আমি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদেরকে অবহিত করি। এতে আমি ও আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন ইহার প্রতিবাদ করিলে সকল আসামীরা উত্তেজিত হইয়া তাহাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়া আমাকে সহ -আমার চার জন শিক্ষককে বিদ্যালয়ের সকল শ্রেনীর ছাত্র/ছাত্রীদের সামনে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে। এবং আমার অফিস রুমের টেবিলের ড্রয়ারের তালা ও চাবি ভাঙ্গিয়া ১,৪৭,০০০/- (এক লক্ষ সাত চল্লিশ হাজার) টাকা নিয়া যায়। সকল আসামীরা আমার বিদ্যালয়ের কাঠের ও প্লাষ্টিকের চেয়ার ও টেবিল ভাঙ্গিয়া অনুমান ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকার ক্ষতিসাধন করে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এবিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, ভুক্তভোগীরা মামলার আবেদন করেছিলেন। তবে ঘটনা তুচ্ছ হওয়ায় সাধারণ ডায়েরির প্রক্রিয়া চলমান। এরপর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।