মানিলন্ডারিং মামলায় আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের স্বাক্ষতেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘ওই আমেরিকার গোয়েন্দার স্বাক্ষতে কিন্তু তারেক জিয়ার সাজাও হয়েছে। তারপরও এদের লজ্জা নাই। এরা একজনকে এমন করবে আবার কখন কাকে পছন্দ করে নিয়ে আসে তার ঠিক নাই।’ আজ শনিবার টুঙ্গিপাড়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই যে মানিলন্ডারিং (তারেক রহমানের) এইটা আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই, তারাই খুঁজে বের করেছে এবং তারাই সাক্ষী দিয়ে গেছে। আসলে বিএনপির যেহেতু বিএনপির সামনে কোনো নেতৃত্ব নাই। ওরা নির্বাচন করবে না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চক্রান্ত এখনো শেষ হয়নি। ষড়যন্ত্র এখনো আছে। এটা দুই রকম—একটা হচ্ছে খুনিরা ও তাদের দোসর, যুদ্ধাপরাধীরা যাদের বিচার করেছিলাম তাদের একটা চক্রান্ত আছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও চক্রান্ত আছে।’ মুসলিম দেশের মেয়ে পাঁচ পাঁচবার ক্ষমতায় আসায় অনেকে ষড়যন্ত্র করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মুসলমান। একটি মুসলিম দেশের মেয়ে হয়ে পাঁচ পাঁচবার ক্ষমতায় আসল এটাও অনেক দেশের পছন্দ না। ষড়যন্ত্রটা এই জন্য আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানটা এ রকম। আমাদের দেশটার ওপর অনেকের নজর আছে। এখানে বসে অন্য দেশের ওপর কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে, কোনো দেশে বিমান হামলা করবে এটাতো আমি মেনে নেব না। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, স্বাধীনভাবে চলব। দেশ ছোট কিন্তু জনসংখ্যা আছে। জনগণ হচ্ছে বড় শক্তি। সেটা একটা চক্রান্ত ছিল। আমাকে আসতে দেবে না, তাদের হুকুমের দাস কাউকে বসাবে। তারপরে এই দেশটাকে নিয়ে খেলতে পারবে। বাংলাদেশের জনগণ তার ভালো জবাব দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখন নির্বাচনটা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল ভোটটা যেন আসে। আর প্রতিযোগিতাটা যেন হয়। কারণ বিএনপি নির্বাচন করবে না। ওরা যে করবে না সেটা আমরা জানি। কারণ ওদের নেতা কোথায়? যে পার্টি ক্ষমতায় আসবে তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবে সেটা থাকে। ওদেরতো তা নেই। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ মামলার সাজাপ্রাপ্ত এবং তারেক রহমান টাকা পাচারের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।’