চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে। ফেনী নদীর পানি বিপৎসীমার ২ মিটার এবং হালদা নদীর পানি ১ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর তীর উপচে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। মীরসরাই, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান উপজেলার অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। বন্যার কারণে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত ঢাকার কোনো পত্রিকা চট্টগ্রামে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন এজেন্টগুলোর কর্মকর্তারা।
এছাড়া, বন্যার পানিতে রেললাইন তলিয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে পুরো দেশের সাথে চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকায় হালদা নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে প্রবল স্রোতে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। এতে করে হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আশেপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মসজিদে মাইকিং করা হয়েছে। নাজিরহাট পুরোনো ব্রিজ ও নতুন ব্রিজের মাঝামাঝি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। হাটহাজারীর বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্ধার তৎপরতার দাবি জানাচ্ছেন। মীরসরাইয়ের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সেখানকার পানিবন্দি মানুষও উদ্ধারের আবেদন জানাচ্ছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ফেনী নদীর রামগড় পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৬ দশমিক ৯০ মিটার হলেও শুক্রবার সকাল ৯টায় সেখানে ১৮ দশমিক ৯০ মিটার পানি রেকর্ড করা হয়েছে, যা বিপৎসীমার ২ মিটার বেশি। অন্যদিকে, হালদা নদীর নারায়নহাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৮০ মিটার হলেও একই সময়ে সেখানে ১৫ দশমিক ৯০ মিটার পানি রেকর্ড করা হয়েছে, যা বিপৎসীমার ১ দশমিক ১০ মিটার বেশি। তবে সাঙ্গু, ইছামতি, চেঙ্গী, মাইনী ও ধরুংখাল নদীর পানি কমে বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় খাগড়াছড়ি জেলার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে।