উৎপাদনশীলতা ও পণ্যের মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার থেকে পুরস্কৃত হলো দেশের অন্যতম ওষুধ শিল্প প্রতিষ্ঠান বায়োফার্মা লিমিটেড। শিল্প মন্ত্রণালয়ের জুরি বোর্ডের বিবেচনায় মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথমস্থান অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শনিবার (৮ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে আয়োজন করা হয় ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি (এনপিকিউ) এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২২ অনুষ্ঠানের।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বায়োফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. লকিয়ত উল্যাহর হাতে ট্রফি ও সার্টিফিকেট তুলে দেন।একই সঙ্গে ইনস্টিউটিউশনাল এপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড-২০২২ও পেয়েছে বায়োফার্মা। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও)। বায়োফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. লকিয়ত উল্যাহ ব্যবসাবান্ধব সরকারের মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানান। বায়োফার্মাকে সম্মানিত করার জন্য পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
ডা. লকিয়ত উল্যাহ বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে আদর্শ মান-নীতি ও সিজিএমপি গাইড লাইন অনুশীলন করে দেশ, বিদেশের রোগীদের জন্য উন্নতমানের ওষুধ সরবরাহ করে আসছে বায়োফার্মা। গুণগত মানের যথার্থতা নিরূপণের লক্ষ্যে সম্প্রতি বায়োফার্মা ইউএস-এফডিএ অনুমোদিত বিখ্যাত কন্ট্রাক্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে ১১টি ওষুধ পণ্য উদ্ভাবক কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করে বায়োইকুভ্যালেন্ট স্টাডি সম্পন্ন করেছে। বায়োফার্মা লিমিটেড দেশীয় বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মিটিয়ে ২০০৮ সাল থেকে এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার ২৫টি দেশে গুনগত মানসম্পন্ন ওষুধ রফতানি করে আসছে। বায়োফার্মা তার উৎপাদিত পণ্য রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ শিল্পের বিকাশ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে অসামান্য ভূমিকা পালন করছে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে কয়েকজন খ্যাতনামা চিকিৎসকের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠিত হয় বায়োফার্মা লিমিটেড। পরে প্রতিষ্ঠানটি তার সেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আরও ১০টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে। এসব প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে পরিণত হয় বায়োগ্রুপ।