শীতে কাবু জনজীবন

জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে পাল্টে গেছে আবহাওয়ার রুটিনও। পৌষ-মাঘ মাসে বাংলাদেশে বিরাজ করে কনকনে শীত। কিন্তু এবার পৌষের শুরুতে সেভাবে অনুভূত হয়নি শীত। তবে পৌষের বিদায় বেলায় বাড়ছে শীতের অনুভূতি। চার জেলায় বিরাজ করছে শৈত্যপ্রবাহ, যা আরও কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। ফলে জনজীবনে নেমে আসছে দুর্ভোগ। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। আগামী দুই সপ্তাহ দেশের উত্তরাঞ্চলসহ অধিকাংশ স্থানে শীতের প্রকোপ থাকতে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাস দিচ্ছেন।

গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় কিশোরগঞ্জের নিকলী ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাবনার ঈশ্বরদী ও দিনাজপুরেও তাপমাত্রা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আওতায় (১০ ডিগ্রির নিচে) ছিল। রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ধাপে ধাপে কমছে। গতকাল ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশের অধিকাংশ স্থানে ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মিলছে দেরিতে। ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়তে পারছে না। একই সঙ্গে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। ফলে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে জনজীবন। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মানুষ। যারা বের হয়েছেন তারাও গরম কাপড়ে নিজেকে মুড়িয়ে নিয়েছেন। অনেকেই খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তবে বেশি ভোগাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। ভাটা পড়ছে তাদের নিয়মিত আয়ে। রাজশাহী শহরে অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়া সাজেদুর রহমান বলেন, ‘এক দিন আগেও সে রকম শীত লাগেনি। আজকে (শুক্রবার) রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। মাথায় কিস্তির বোঝা। তাই কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যেও বের হয়েছি।’

Recommended For You

Leave a Reply