বরগুনা তালতলী উপজেলার খোট্রার চর-মাছ বাজার এলাকার সেতুটি দীর্ঘদিন যাবৎ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। এরপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার মানুষ। তবু সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুটির মাঝখানে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় সেতুর ওই স্থানে কাঠের পাটাতন বিছিয়ে তার ওপর দিয়ে হেঁটে যাতায়াত করছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও সেতুর রেলিংয়ের কয়েক জায়গা ভেঙে গেছে। কিছু স্থানে রেলিং থাকলেও রেলিংয়ের ওপরের আস্তর খসে পড়ে রড বের হয়ে রয়েছে। তাছাড়া সেতুটি একদিকে হেলে পড়েছে তারপরেও ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে শিক্ষার্থীরা। যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় সেতুটি ডেবে যায়। এরপর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দীর্ঘ ১৬ বছর পার করলেও সংস্কার হয় নি। তাই যেকোনো সময় সেতুটি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
খোট্রার চর এলাকার বাসিন্দা আল আমিন হাওলাদার বলেন, গাড়ি চলাচল করে না। রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার কোন সুব্যবস্থা নেই। আমরা মালামাল বিক্রি করতে বাজার-ঘাটে নিয়ে যেতে পারি না। আমাদের ছেলে-মেয়েদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে পাঠাতে ভয় হয়। নিশান বাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ভাঙা সেতুটির কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হন শিক্ষার্থী, কৃষক এবং রোগীরা। কিন্তু বিকল্প রাস্তা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শতশত মানুষ পারাপার হচ্ছেন সেতুটি দিয়ে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। জরুরী ভিত্তিতে সেতুটি পুনর্নির্মাণ প্রয়োজন। এ ব্যাপারে তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইমতিয়াজ হোসাইন রাসেল বলেন, নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই ব্রিজের ডিজাইন সম্পন্ন হয়েছে, প্রাক্কলন অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অনুমোদন পেলে নির্মাণকাজ শুরু করবেন বলে জানান তিনি।