দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন বরগুনার টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বঙ্গোপসাগরের প্রবল ঢেউসহ নানা কারণে ধ্বংসের মুখে এখানকার অসংখ্য গাছ। একই সাথে কমে আসছে, আয়তন। হুমকিতে বন্যপ্রাণিও। এক পাশে সাগরের মাতাল ঢেউ আর অন্যপাশে সবুজের চাদর মুড়িয়ে বিস্তির্ণ বরগুনার টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এক সময় সুন্দরবনের অংশ থাকলেও এখন বিচ্ছিন্ন এই বনাঞ্চল। যাকে স্থানীয়রা নাম দিয়েছে ফাতরার বন। ১৯৬০ সালে এই বনকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং ২০১০ সালে সংরক্ষিত অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্বাসমূলীয় বনটি এখন নানা কারণে হুমকিতে। কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে দেড় হাজারের বেশি মরা ও আধমরা গাছ।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও জনসাধারণের কারনে ধ্বংসের মুখে প্রকৃতির মাঝে অক্সিজেন বিলানো বনাঞ্চলটি। একই সাথে হুমকিতে বণ্যপ্রাণিও। এভাবে চলতে থাকলে এ অঞ্চলের উপকূলটাই অরক্ষিত হয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি। বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, বনাঞ্চলটিকে নতুনভাবে বাঁচিয়ে তুলতে এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এই বনাঞ্চল রক্ষায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি। পটুয়াখালী বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বরগুনা জেলায় প্রস্তাবিত বনাঞ্চল ৭৫ হাজার একর। যার মধ্যে ১৮ হাজার ২৪৭ দশমিক ৮৪ একর সংরক্ষিত বনভূমি।